নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন সরকার জানে যে তাদের অপশাসনের পরিণামে ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা নেই, তখনই তারা দানবীয় রূপ ধারণ করে।”
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিউম্যান রাইটস সোসাইটির আয়োজিত ১১তম মানবাধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বর্তমান শাসনব্যবস্থায় মানবাধিকার রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার এখন আইনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে মানবাধিকার রুদ্ধ করার চেষ্টা করছে।”
আসিফ নজরুল আরও বলেন, “শুধু আইন করে মানবাধিকার নিশ্চিত করা যাবে না, এজন্য প্রয়োজন সচেতন ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান। পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে মানবাধিকার চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র—সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা যদি নিজেদের মানসিকতা ও খাসলত না বদলাই, তাহলে কোনো আইন বা প্রতিষ্ঠান দিয়েই সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।”
ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্যে উঠে আসে গণতন্ত্র, জবাবদিহি এবং মানবাধিকারের প্রয়োজনীয়তা, যেখানে তিনি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সম্মেলনে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আরও অনেক বিশিষ্ট আলোচক। তাঁরা বলেন, মানবাধিকার নিশ্চিত না হলে উন্নয়নের সব প্রচেষ্টা অর্থহীন হয়ে যাবে।