নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামো ও অর্থনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, তবে তা একদিনে সম্ভব নয়। এই পরিবর্তনের জন্য সময় দরকার এবং এজন্য গণতান্ত্রিক চর্চাকে কেন্দ্র করে আগাতে হবে।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। রাজনৈতিক কাঠামো প্রায় ভেঙে পড়েছে। দেশে জবাবদিহিতার অভাবে সীমাহীন লুটপাট চলছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে সুশাসনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গণতন্ত্রকে চলতে দিতে হবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে—এটাই এখন সময়ের দাবি।”
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দ্রুত ফেরার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। কোনো রকম বিলম্ব না করে অবিলম্বে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসতে হবে। বসে থাকলে হবে না, সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।”
বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে জনগণ প্রকৃত অর্থে তাদের রায়ের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নিতে পারে।”
প্রস্তাবিত পিআর (প্রোপরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানে না। এদেশের মানুষ একজন নির্দিষ্ট নেতা চায়, যাকে তারা চেনে, কাছে পায়। পিআর পদ্ধতিতে সে সুযোগ থাকে না। এটা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে গ্রহণযোগ্য নয়।”
এছাড়া আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য শুল্ক আরোপের বিষয়ে তিনি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের ট্যারিফ নীতি আমাদের দেশের জন্য বড় বিপদের বার্তা। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য গঠন করা জরুরি।”
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক ন্যায্যতার ওপর জোর দেন, যেখানে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সকলে মিলে একটি গ্রহণযোগ্য ভবিষ্যৎ নির্মাণের আহ্বান জানান।