ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে অশ্রাব্য ভাষা ও গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ‘একটি দলের নেতারা আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে কটূক্তি করেছে, তা কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচার হতে পারে না।’
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে বায়তুল মোকাররম উত্তর ফটকে ইসলামী যুব আন্দোলনের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বানে যারা গালাগাল করে, তাদের চরিত্র যে কতটা নোংরা হয়েছে, তা সহজেই বোঝা যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমাদের বলা হয় মূর্খ, অথচ আমি দস্তখত করি, পড়ি, পড়াইও। যারা মিথ্যা অপবাদ দেয়, তারাই প্রকৃত মূর্খ ও জ্ঞানপাপী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার নামে বলা হয়েছে আমি নেশা করি—নাউজুবিল্লাহ! এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।’
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্ষমতা নয়, দেশ হোক সবার অগ্রাধিকার। ঘৃণা নয়, গড়ে তুলুন সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ।’
প্রশাসনের প্রতি নিরপেক্ষতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কে ক্ষমতায় যাবে—এই চিন্তা না করে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করুন।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হবে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজন করা।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ইসলামপন্থীদের উত্থান ঠেকাতে একটি দল ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘যারা নিজেদের দলের দেড় শতাধিক কর্মী খুন করেছে, তারা কীভাবে নিরাপদ দেশ গড়বে?’
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ বলেন, ‘আমরা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই, কিন্তু যারা একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী, তারা সেটা চায় না।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ। আরও বক্তব্য দেন মাহবুবুর রহমান, সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আহমাদ আবদুল কাইয়ুমসহ অন্যান্য নেতারা।