গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮), টুঙ্গীপাড়ার সোহেল মোল্লা (৪১) ও সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন (২৪)।তাদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় আরও অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে আরও অনেকে আহত হয়েছেন, তবে তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারফিউ চলাকালে জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে, বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো সময়জুড়ে মাঠে থাকবে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ শেষে এনসিপির গাড়িবহর ফেরার পথে হামলার শিকার হয়। অভিযোগ উঠেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা এ হামলা চালায়। মুহূর্তেই পুরো গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। হামলার শিকার হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যানবাহনও।