মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা তাঁর বরাবরই। সেই রাস্তা সহজ করতেই উপায় বার করলেন বাংলাদেশের ইউটিউবার তথা অভিনেতা হিরো আলম। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম), বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনের সময় আলোচনায় আসেন তিনি। তবে সে বার তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে আলম বলেছেন, “আসলে আমি জিতেছিলাম। কিন্তু আমায় জোর করে হারানো হয়েছিল। আমার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তাই আমি দেখিয়ে দিতে চাই, যা হয়েছিল সেটা অন্যায়।” আলম ফারুকের মৃত্যুর পর সেই আসনের জন্যই লড়বেন আলম। ১৩ জুন নমিনেশন জমা দিতে যাবেন। তবে বার বারই আলমের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, “আমি ফারুকভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই। আর যোগ্যতা প্রসঙ্গে বলব, হ্যাঁ এটা তো ঠিক যে আমি যোগ্য নই সাংসদ হওয়ার। কিন্তু এখানে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন, যাঁরা অযোগ্য অথচ পদে আছেন। তাঁরা কেউ কোনও কাজ করেননি।”
আলম জানিয়েছেন, তিনি এখন যদি ১০০ পরিবারের জন্য ভাবেন, পেলে ১০ হাজার পরিবারের কথা ভাবতে পারবেন। এর আগেও বিভিন্ন কারণের জন্য বিতর্কে জড়িয়েছেন আলম। গান করেছিলেন বলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঢাকা পুলিশ। আলমের গান বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সে সময় তিনি বলেছিলেন, “আমি আতঙ্কে আছি। আমাকে মানসিক নির্যাতন করছে পুলিশ। বাক্স্বাধীনতা সবার রয়েছে।”
তিনি জানিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষ তাঁকে পছন্দ করেছে বলেই বর্তমানে তাঁর এত এত অনুসরণকারী। কোনওটাই ভুয়ো নয়। কোনও সংবিধানে লেখা নেই যে কেউ ভালবেসে গান গাইতে পারবেন না। এই বেসুরো গানই দর্শক ভালবেসে এসেছেন। সুতরাং তাঁর উপর এই অত্যাচার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশি শিল্পী।
বর্তমানে তিনি অনেকটাই শান্তিতে রয়েছেন। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলম খুবই আশাবাদী। সাধারণ মানুষ বিশেষত দেশের গরিবদের জন্য ভাবতে চান। আগামী নির্বাচনই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। সূত্র : আনন্দবাজার