নিজস্ব প্রতিবেদক
সাংবাদিকতা কেবল পেশা নয়, অনেকের জন্য এটি হয়ে ওঠে এক রকমের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নৈতিক সাহসের পরীক্ষাস্থল। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মানবজমিনের উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি ও ভ্রাম্যমাণ সাংবাদিক প্রতীক ওমর, যিনি মূলত ওমর ফারুক নামে পরিচিত। সাহসী সাংবাদিকতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সম্মাননা। এই সম্মাননা প্রদান করেছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।
রোববার (৩ আগস্ট ) দুপুরে তথ্য ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীক ওমরের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এ সম্মাননা প্রদান করা হয় জুলাই চব্বিশ বিপ্লবে সাহসিকতার সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা করার জন্য, যেখানে প্রতীক ওমর স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের পক্ষে শক্তিশালী ভূমিকা রাখেন। সেদিনের মাটিতে চলা রক্তাক্ত ঘটনার মধ্যেও তিনি ভয় না পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন, প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং জনগণের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরেন।

উত্তরাঞ্চলের নির্ভীক কণ্ঠস্বর প্রতীক ওমর দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক মানবজমিনের উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তার সাংবাদিকতায় রয়েছে মাটির ঘ্রাণ, মানুষের জীবনসংগ্রামের স্পর্শ এবং সত্য বলার অদম্য আকাঙ্ক্ষা। তিনি মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে বহুবার হুমকি, নির্যাতন এমনকি প্রাণনাশের ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছেন, কিন্তু কখনও পিছপা হননি।
এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভয়েস অফ আমেরিকা (VOA)–র হয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতার বাইরে তিনি একজন সংবেদনশীল সাহিত্যিকও বটে।
ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগ থাকা ওমর ফারুক বর্তমানে প্রতীক ওমর নামে সাহিত্য অঙ্গনে পরিচিত। তার রচিত তিনটি কাব্যগ্রন্থ ‘পেরেকবিদ্ধ সময়’ ‘পড়ন্ত বিকেলের কাছে’, এবং ‘ফিরে যাও মানুষের পল্লী থেকে’ বাংলা কবিতায় নতুন ধারা ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে বলে পাঠক ও সমালোচকদের অভিমত। তিনি সাহিত্যের পাশাপাশি সম্পাদনা করছেন সাহিত্যপত্রিকা ‘চিলেকোঠা’, ছড়ার ছোট কাগজ ‘চমচম’ এবং সমসাময়িক বিষয়ের মাসিক ম্যাগাজিন ‘আলোচনা’।