ফেসবুক পোস্টে বললেন—যুক্তরাষ্ট্রে আয়-সম্পত্তি বৈধ, এফবিআইও তদন্ত করে কিছু পায়নি
বিশেষ প্রতিনিধি
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চাইলে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, “দুদক যদি চায়, আমি তাদের আমন্ত্রণ জানাই—এসে চেষ্টা করে দেখুক। আমি নিজেকে রক্ষা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত।”
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জয় এসব কথা বলেন।
তিনি দাবি করেন, “এই অবৈধ সরকার এখন চাপে আছে এবং জনরোষের মুখে পড়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে দুদককে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলতে চাচ্ছে।”
বাড়ির মালিকানা নিয়ে ব্যাখ্যা
ফেসবুক পোস্টে জয় জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় একটি বাড়ির মালিক, দুটি নয়। বাড়িটি তিনি ২০১৮ সালে কিনেছেন, গত বছর নয়। তিনি লেখেন, “গত বছর আমার ডিভোর্স চূড়ান্ত হওয়ার পর বাড়িটির মালিকানা এককভাবে আমার নামে করা হয়েছে।”
অভিযোগে যে আরেকটি বাড়ির কথা বলা হচ্ছে, তা আসলে তাঁর পূর্বের বাড়ি, যা বিক্রি করে নতুনটি কেনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আমি বাড়িটি অনেক কম দামে কিনেছিলাম। এখন এর মূল্য বেড়ে প্রায় ১৫ লাখ ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১৮ কোটি টাকা হয়েছে।”
“আমি কোনো সরকারি কর্মকর্তা নই”
সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর পোস্টে জোর দিয়ে বলেন, “আমি কোনো সরকারি কর্মচারী নই। আমি একজন আইটি উদ্যোক্তা। আমার আয় বৈধ এবং আমি কর পরিশোধ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করি।”
তিনি দাবি করেন, “আমার বিষয়ে এফবিআই তদন্ত করেছে এবং কিছুই পায়নি। তাই যখন ইউনুসের সরকার আমার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করেছিল, তখন আমি দ্রুত মার্কিন নাগরিকত্ব পাই।”
আইনি প্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গ
জয় জানান, তাঁর আইনজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রে দুদকের কর্মকর্তা মোমেনের বিরুদ্ধে মামলা করতে প্রস্তুত আছেন। তিনি বলেন, “এই অভিযোগের মূল উদ্দেশ্য হলো আমার ঠিকানা প্রকাশ করে আমাকে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ফেলা।”
তবে নিরাপত্তা নিয়ে তিনি আতঙ্কিত নন বলে জানান। জয় বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে অস্ত্র রাখা যায় এবং গুলিরও সীমাবদ্ধতা নেই। আমি নিজেকে রক্ষা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সক্ষম।”
সবশেষে ব্যঙ্গ করে তিনি লেখেন, “আর একটা কথা, আমার বাড়ির নম্বর কিন্তু ৩২ নয়।”