নিজস্ব প্রতিবেদক
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী বলেছেন, “জুলাই জাদুঘর হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক অনন্য দলিল।”
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। এতে তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি ও অন্যান্য সদস্যরা জাদুঘর পরিদর্শনে যান।
ফারুকী লিখেছেন, “ট্রাইব্যুনালে তো খুনির বিচার হবেই। গুম, লুটপাট, নির্মম হত্যার বিচার হবেই। কিন্তু জুলাই জাদুঘরে—যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততোদিন দর্শনার্থীরা প্রতিদিন একবার করে এদের বিচার করবে।”
তিনি আরও বলেন, “আবরারের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড, জনগণের ভোটাধিকার হরণ, গুমের শিকার মানুষের স্বজনদের আর্তনাদ—এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এই জাদুঘর।”
ফারুকী জানান, জাদুঘরটি হবে একটি ‘এনগেজিং ও এক্সপেরিয়েন্সিয়াল স্পেস’। দর্শনার্থীরা শুধু জিনিস দেখবে না, বরং ইতিহাসকে অনুভব করবে—এমন উপস্থাপনাই কিউরেশন টিমের লক্ষ্য।
তিনি লিখেছেন, “আমরা এমনভাবে কাজ করছি, যাতে ইতিহাস দর্শনার্থীর জীবনের অংশ হয়ে উঠতে পারে। এটি কেবল মিউজিয়াম নয়, বরং ন্যায়বিচারের পক্ষের প্রতিদিনের বার্তা হয়ে থাকবে।”
তিনি জানান, বর্তমানে দর্শনার্থীরা জাদুঘরের ভেতরে যা দেখছেন, তা মূল প্রদর্শনী নয়। এগুলো প্রাথমিক পরিকল্পনা ও কনটেন্ট ব্যাখ্যার অংশ মাত্র।
“মূল কনটেন্ট সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হবে, যা আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না। সেটি থাকুক চমক হিসেবে,”— বলেন ফারুকী।
জাদুঘরের বাইরের প্রতীকী সমাধিসৌধ ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কেড়েছে। তবে ভেতরের বেশিরভাগ অংশ এখনো নির্মাণাধীন। মূল প্রদর্শনীর বিভিন্ন সেকশন ব্যাখ্যা করা হলেও প্রধান উপস্থাপনাটি এখনও উন্মোচন করা হয়নি।
ফেসবুক পোস্টের শেষাংশে ফারুকী আশ্বস্ত করে বলেন, “আর অল্প কিছু দিনের অপেক্ষা। শিগগিরই এই জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত হবে।”