সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এরপর তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. নাসিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও নারায়ণগঞ্জে দায়ের করা তিনটি মামলার মধ্যে যেকোনো একটির ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
খায়রুল হকের বিরুদ্ধে জালজালিয়াতি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি আদালতের রায় জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেছেন এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। মামলাটি করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূঁইয়া। ঢাকাতেও তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা রয়েছে।
এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১১ সালের ১৭ মে অবসরে যান। বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেন, যার ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়—এ রায় রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়।
এছাড়া ফতোয়া নিষিদ্ধ, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল, ঢাকার চার নদী রক্ষা, এবং স্বাধীনতার ঘোষক সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ও দেন তিনি।
২০১৩ সালের ২৩ জুলাই খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তাঁর মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। তিনি ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট পদত্যাগ করেন।