BDOUTLOOK
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
    • অস্ট্রেলিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • স্মৃতিকথা
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার
BDOUTLOOK
Thursday | October 16 | 2025
বিজ্ঞাপন দিন
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
    • অস্ট্রেলিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • স্মৃতিকথা
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার
ভিডিও
BDOUTLOOK
BDOUTLOOK
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
    • অস্ট্রেলিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • স্মৃতিকথা
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার

News 24 Hours BDOUTLOOK.COM

ট্যুরিজম

আমার তাজিংডং ভ্রমণ : মাহমুদা বীথি

বিডিআউটলুক August 13, 2025
August 13, 2025
শেয়ার Facebook
169

কেউ যদি বলে পাহাড় নাকি সাগর? কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে না গিয়ে সরাসরি বলি পাহাড়। আর দেশীয় পাহাড়প্রেমী ও ট্রেকারদের জন্য প্রকৃতিকন্যা বান্দরবান এক আকর্ষণের নাম। আগেই বলে নিই, বান্দরবান বলতে অনেকেই নীলগিরি, নীলাচল, মেঘলা, সাঙ্গু নদী— এসবই বোঝেন। তাদের হয়তো বান্দরবানের মূল সৌন্দর্য উপভোগই করা হয়নি। বান্দরবানের প্রকৃত সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে বান্দরবানের ভেতরের দিকে। যেখানে সবুজের অরণ্য, পাখির কলতান আর পাহাড়ের গা বেয়ে প্রবহমান ঝর্নাধারার কলকল ধ্বনি মন জুড়িয়ে দেয় নিমিষেই।


ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে হুট করে বান্দরবান চেপে বসল মাথায়। এখানকার পাহাড়ি রোমাঞ্চকর দুর্গম পথ বারবার আকর্ষণ করে। অবশেষে প্ল্যান ঠিক করে ফেললাম, বান্দরবানই যাচ্ছি। যদিও এর আগে আরও কয়েকবার বান্দরবান যাওয়া হয়েছে। ঠিক করলাম তাজিংডংয়ের সাথে নাফাখুম আমিয়াখুমের অভিযানও শেষ করব।
বিভিন্ন ট্রাভেল গ্রুপ সার্চ করে একটি গ্রুপ ঠিক করে ফেললাম। তারপর একদিন বের হয়ে ট্রাকিং সু, টর্চ লাইট, কিছু শুকনো খাবার কিনে ফেললাম। বেশ কিছু পাহাড় ভ্রমণ করা হয়েছে কিন্তু তাজিংডং যাওয়া হয়নি। এটি নিয়ে অনেক এক্সাইটেট ছিলাম।


ট্রেকার আর অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের অন্যতম এক আকর্ষণের নাম হলো তাজিংডং পর্বত। সরকারিভাবে তাজিংডং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটি বান্দরবানের থানচিতে অবস্থিত। স্থানীয় উপজাতীয়দের ভাষায় তাজিং শব্দের অর্থ বড় এবং ডং শব্দের অর্থ পাহাড়। এই দুটি শব্দ থেকে তাজিংডং পর্বতের নামকরণ। সরকারিভাবে তাজিংডং বিজয় পর্বত। তাজিংডং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বান্দরবানের রুমা উপজেলার রেমাক্রি পাংশা ইউনিয়নে সাইচল পর্বতসারিতে অবস্থিত। এটি রুমা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। তাজিংডং পর্বতের উচ্চতা ১ হাজার ২৮০ মিটার (কারও মতে ৪ হাজার ১৯৮ দশমিক ৪ ফুট, কারও মতে ৪ হাজার ৩০০ ফুট)।


রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে রাত ১১টার বাসে উঠলাম। ঢাকা পার হয়ে বাস তার আপন গতিতে চলা শুরু করল। ভোরে পৌঁছালাম আলী কদম। নেমে সকালের নাশতা করে আগে থেকেই ঠিক করে রাখা চান্দের গাড়িতে থানচির উদ্দেশে রওনা দিলাম। পাহাড় কেটে বানানো রাস্তা দিয়ে আমাদের গাড়ি চলতে থাকে। সেখান নিচের দিকে তাকালে গা ছমছম করে। মনে হয়, এই বুঝি পাহাড়ের খাদে পড়ে যাচ্ছি। রাস্তার দুপাশেই পাহাড় আর পাহাড়। আল্লাহতায়ালার কী অপরূপ সৃষ্টি! ভ্রমণ উপভোগ করতে করতে থানচিতে পৌঁছে গেলাম আমরা।
সেখানে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে গিয়ে এন্ট্রি করে নিলাম। পরে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে রওনা দিলাম রেমাক্রির উদ্দেশে। দুই পাশে পাহাড় আর তার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা খরস্রোতা সাঙ্গু। নদীর মাঝে বড় বড় পাথর। সেই পাথর এড়িয়ে খুব সাবধানে এগিয়ে চলল আমাদের নৌকা। এর মাঝেই আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। প্রায় দুই ঘণ্টার নৌকাযাত্রা শেষ হয়ে গেল। রেমাক্রি থেকে পাহাড় ডিঙিয়ে রেমাক্রি ঝিরির পাড় ধরে বাকিটা হেঁটে চলা। এই পথে নাফাখুম পৌঁছাতে পৌঁছাতে গোধূলিবেলা।


মারমা ভাষায় ‘নাফা’ অর্থ বড় আর ‘খুম’ মানে ঝর্না। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ঝর্না বলে নাফাখুম নামকরণ। এই প্রপাতটির প্রায় ৩০ ফুট উপর থেকে পানি আছড়ে পড়ছে। স্বপ্নে দেখা এই সৌন্দর্য না ছুঁয়ে দেখলে হয়! এই ঠান্ডা আবহাওয়ার মাঝেও যেন লোভ সামলাতে পারলাম না। একই উচ্চতা থেকে আমিও লাফিয়ে পড়লাম। বরফের মতো ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে উঠে পড়লাম। এরপর চা-টা খেয়ে রওনা দিলাম থুইসা পাড়ার উদ্দেশ্যে।
ইতিমধ্যে চারদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে। টর্চ জ্বালিয়ে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে লাগলাম। কেউ দল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে জোরে আওয়াজ করতেছিল। কিছুক্ষণ হাঁটার পর বুঝতে পারলাম শরীরে ভেজা কাপড় শুকিয়ে গেছে। কোথাও ঝিরি পথ কোথাও পাহাড়ি অরণ্য পার হয়ে রাত আনুমানিক ৯টা বা এরপর পৌঁছালাম থুইসা পাড়ায়। এই পাড়ায় আগামী দু’রাত কাটাব আমরা। পরদিন অভিযান আমিয়াখুমে।


ভোরে ডাল-ভাত খেয়ে রওনা দিলাম আমিয়াখুম, ভেলাখুম আর সাতভাইখুমের উদ্দেশ্যে। ঘণ্টা দুয়েক হেঁটে পৌঁছালাম দেবতা পাহাড়ে। আমিয়াখুম জলপ্রপাতটি এই পাহাড়ের নিচে। প্রকৃতি এখানে ভয়ংকর সুন্দর। খাঁড়া এক পাহাড়, ওঠাটা যত কষ্টের হোক, নামাটা ভীষণ রকম ভয়ংকর। একটু এদিক-সেদিক হলেই আলুর দম! খুব সাবধানে নেমে প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার পর পেয়ে গেলাম সেই মহা আনন্দের ক্ষণ। দুই পাশে দিগন্তছোঁয়া খাঁড়া পাহাড়। সেই পাহাড়ে বড় বড় গাছ, নিচে বিশাল বিশাল বিশাল আকৃতির পাথর, তার মাঝে বয়ে চলেছে অবিরাম ধারায় অমিয়াখুম জলপ্রপাত। এখানকার পাথুরে পাহাড় এমনভাবে খাঁজকাটা, দেখে মনে হয় কোনো ডিজাইনার বেশ যত্ন নিয়ে এ সৌন্দর্য তৈরি করেছেন। প্রকৃতির খেয়ালে পানি পড়ার দৃশ্য বর্ণনাতীত। হৃদয়ছোঁয়া প্রপাতের ছন্দময় শব্দ ভ্রমণের সব ক্লান্তি দূর করে দেয় নিমেষেই। অমিয়াখুমের জলে মন ভরে অবগাহন করা হলো। কিন্তু ভর দুপুর আর ট্র্যাকিং শেষে ক্ষুধাটা মাথাচারা দিয়ে উঠল। হোস্টরা সাথে করে নুডুলস এনেছেন। মোটামুটি রান্নার ব্যবস্থাও হয়েছে জলপ্রপাতের পাড়ে। সেখানেই রান্না করে হাপুস হুপুস নুডুলস খেলাম। অতঃপর মুগ্ধতার আবেশে ফেরার পালা।
এর মধ্যে দুইদিন কেটে গেলেও পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ করা হয়নি। পথেই নিকোলাস পাড়া এই পাড়ায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় শুনে সেই পাড়ায় ঢুকলাম। প্রিয়জনদের সাথে কথা বলে উৎফুল্ল হয়ে উঠল যেন সবাই। সূর্যাস্তটাও মন প্রাণ ভরিয়ে দিল। সবাই কিছু ফটোসেশন করে ফেরার পথ ধরলাম। থুইসা পাড়ায় ফিরতে ফিরতে চারদিকে অন্ধকারে ঢেকে গেছে। পাহাড়ে যত তাড়াতাড়ি ভোরের আলো ফোটে ঠিক সূর্যাস্তের সাথেই অন্ধকার নেমে আসে। রাতে গল্প আড্ডা শেষ করে ঘুমানোর পালা। ভোরে আবার রওনা হতে হবে শেরকর পাড়ার উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে পরদিন তাজিংডং অভিযান।


পরদিন সকালে খিচুড়ি খেয়ে রওনা হতে হতে ৮টা বেজে গেল। এরপর পদ্মঝিরি হয়ে পথ চলা শুরু। তবে ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে ওঠা দিনের সূর্য, হাঁটার গতিকে কমিয়ে দিচ্ছিল। প্রচণ্ড গরম নিয়েই পথ চলছি উঁচুনিচু পাহাড়ের সরু পথ বেয়ে। জুম ক্ষেতের পথ পেরিয়ে কোথাও ঝিরি পথ আবার কোথাও পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে সূর্য যখন মাথার উপর তখন পৌঁছালাম দোতৎ ভেলি। সেখানে কলা বিস্কুট আর ড্রাইফুড হলো দুপুরের খাবার। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার হাঁটার পালা। উঁচুনিচু পাহাড়ি পথ, পথে পথে ছোট জুম ঘর। চারদিকে পাহাড়ের দেয়ালে চুমু দিয়ে যেন সেঁটে আছে সবুজ গাছেরা। নানা রকম চেনা-অচেনা পাখির কলতান, অরণ্যের নিবিড় স্তব্ধতার মাঝে নানা শব্দ। দেখতে দেখতে যখন সূর্যাস্ত যাবে তখন শেরকর পাড়ার কাছাকাছি কোনো একটা পাহাড়ে আবার কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় শীতল বাতাসে ঠান্ডা লাগছিল আমাদের। হোস্ট ইফতি ভাইয়া কিছু খড় আর লতায় আগুন ধরিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছিল। এখানে একটা অঘটন ঘটে যায়। আশপাশে লতাগুল্মে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আমরা এখানে প্রায় ৮ থেকে ১০ জন ছিলাম। সবাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি যে যার মতো। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিভিয়েও ফেলি। এরপর ভয় হচ্ছিল একটু আগুনের ফুলকি থাকলেও অরণ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই মাটি চাপা দিয়ে সেই আশঙ্কা দূর করে তারপর হাঁটা ধরি। সন্ধ্যা ৭টার বা তার কাছাকাছি সময়ের মধ্যে শেরকর পাড়ায় চলে আসি।


শেরকর পাড়াকে বলা যায় তাজিংডংয়ের বেইস ক্যাম্প। পাড়ায় বম আদিবাসীদের বসবাস। এই পাড়ায় ব্যবস্থা হয়েছে আমাদের থাকা ও খাওয়ার। রাতের খাবার খেয়ে শুরু হলো ট্যুরমেটদের নিয়ে গানের আসর। চাঁদের আলোয় আমাদের হালকা হালকা দেখা গেলেও আড্ডায় কোনো কমতি ছিল না। আড্ডা শেষ করে সবাই চললাম রুমে। একরুমে প্রায় ১৫ জন মেয়েকে ঘুমাতে হবে। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে। রাত তিনটার দিকে উঠে যেতে হবে তাজিংডং সামিটে। এরমধ্যে সবাই ঘুমিয়ে গেলেও নাক ডেকে ঘুমানোর শব্দে আমি পারছিলাম না। কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলাম। কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম টেরও পাইনি। রাত তিনটার দিকে যখন ঘুম ভাঙল দেখি বৃষ্টি পড়ছে। হতাশ হয়ে গেলাম। হায়! তাহলে কি তাজিংডং সামিট করতে পারব না? ঘণ্টাখানেক পরে বৃষ্টি কিছুটা কমলে বেরিয়ে পড়ি। এবারের গন্তব্য দেশের অন্যতম শীর্ষ পাহাড় চূড়া তাজিংডং।


অন্ধকারে লাইট ধরে ধরে ট্রেকিং। চারপাশে কুয়াশা মোড়ানো উঁচুনিচু পাহাড়ি পথ বেয়ে চলছি। ভোরের আলো ফুটতে শুরু করলে পথের পাশে শীতে পাহাড়ের রং হারানো সবুজ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেখা মেলে বুনো পথে ছড়ানো সৌন্দর্যের মালা। কোথাও কোথাও বুনো ফুলের দল, চেনা-অচেনা কীটপতঙ্গ, আর পাহাড়ি পোকার গান। এসব দেখতেই দেখতেই পা ফেলছি। শুধু উপরে উঠছি আর উঠছি। এমন কষ্টকর পথ যেন শেষই হয় না। তীব্র গরমে প্রায়ই গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল। পথ চলতে চলতে একসময় কিছুটা দূর থেকে চোখে প্রায় সারি করা তিনটি চূড়া। যতই চূড়ার কাছে যাচ্ছি, ততই শিহরিত হচ্ছিলাম। মনের আনন্দে ক্লান্ত শরীর ভেঙেই উঠছি জিং-এর চূড়ায়। চূড়ায় উঠে মনের দীর্ঘশ্বাসটা যেন একটা সার্থকতা খুঁজে পায়। সেখান থেকে নেমে নতুন উদ্যমে সর্বোচ্চ চূড়ার পানে পা বাড়াই। অবশেষে দীর্ঘ ট্রেকিং করে পৌঁছে গেলাম স্বপ্নের তাজিংডংয়ের চূড়ায়। যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। তাজিংডং জুড়ে এত হাওয়া বইছিল। অনেকে তো বলছিল আমি না আবার উড়ে যাই। চিকন গঠন হওয়ায় এটা অবশ্য আমাকে সব সময়ই শুনতে হয়। সেই বাতাসে মুহূর্তেই ঠান্ডা জেঁকে ধরে। কোমরে বেঁধে রাখা হুডি পরে উপভোগ করতে থাকি পাহাড়ের সৌন্দর্য। পাহাড়ের চূড়ায় সকালের নির্মল সোনালি সূর্যের প্রথম রশ্মি উপভোগ করি সবাই। চূড়ায় দাঁড়িয়ে নিচের পাহাড়ি খাঁজ, জুমক্ষেত, চোখ সীমানায় বন্দি হওয়া পাহাড়ি পাড়া সবকিছুকে উপভোগ করছিলাম। মনে হচ্ছিল দূরে যেন পাহাড়ের চূড়া আকাশের সাথে এসে মিশে গেছে। ঘন মেঘমল্লার দল, দুর্গম বিস্তৃত অরণ্যভূমির মনোমুগ্ধকর নানা দৃশ্যপটে দুচোখ ক্ষণে ক্ষণেই আটকে যাচ্ছিল। মুহূর্তেই হৃদয় দোলানো রূপের মাদকতায় স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে আসে। মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে আলহামদুলিল্লাহ, কী অপরূপ এই সৌন্দর্য। চোখ জুড়ানো সবুজের মায়া উপভোগ করে পরম তৃপ্তি নিয়ে ফিরলাম কন্কিটের শহরে।
আমাদের অনেকেই সৌন্দর্য খুঁজতে পাড়ি জমাই বিদেশের পথে। তবে আমাদের দেশে কি আছে সেটা আগে দেখা উচিত বলে মনে করি। আমরা আসলেই আমদের দেশের মুগ্ধময় সৌন্দর্য কখনো খেয়াল করি না। আমাদের দেশ হচ্ছে রূপের রানি। নিজ দেশ না দেখে পরে আবার আফসোস হতে পারে। এখানে আমি রবিঠাকুরের সেই পঙ্ক্তিটি উচ্চারণ করতে চাই— বহু দিন ধ’রে বহু ক্রোশ দূরে/ বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে/দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা,/দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু।/ দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/একটি ধানের শিষের উপরে/একটি শিশির বিন্দু।


যে কোনো পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের। তাই ময়লা-আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন। হ্যাপি ট্রাভেলিং।

শেয়ার Facebook

আরও যেসব নিউজ পড়তে পারেন

বাংলাদেশের সুইজারল্যান্ড মনখালী ঘিরে নতুন পর্যটন সম্ভাবনা

August 30, 2025

সাম্প্রতিক খবর

  • ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলা

    October 9, 2025
  • টিকটকের আদলে ফেসবুক রিলসে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে মেটা

    October 9, 2025
  • ১৭ বছর পর সাক্ষাৎকার : কবে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, কী বললেন তারেক রহমান

    October 6, 2025
  • যেসব অভ্যাস কমিয়ে দিচ্ছে ফোনের আয়ু

    October 6, 2025
  • ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক মারা গেছেন

    October 2, 2025

BDOUTLOOK.COM

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহমুদা জুয়েনা

নির্বাহী সম্পাদক : কাদের বাবু

  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
    • অস্ট্রেলিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • স্মৃতিকথা
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার

bdoutlook2@gmail.com

  • Privacy Policy
BDOUTLOOK
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
    • অস্ট্রেলিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • স্মৃতিকথা
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার