আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর নীতিমালার (ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর পলিসি) খসড়া চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, সেমিকন্ডাক্টরভিত্তিক পণ্য ও সেবা রপ্তানিতে উৎসাহ দিতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনা (ক্যাশ ইনসেনটিভ) দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয় ‘বিয়ার সামিট’ ও ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫’ উপলক্ষে।
আগামী ১৬ ও ১৭ জুলাই ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিচ্ছে। আয়োজন করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ‘এজ’ প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. মেহেদী হাসান, গ্লোবাল ফাউন্ডারস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাশেদসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সচিব আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সেমিকন্ডাক্টর খাতের জন্য সব ধরনের নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। বিয়ার সামিট ও সিম্পোজিয়ামে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে, যারা বিভিন্ন সেশনে অংশ নেবেন আলোচক হিসেবে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মাত্র ২০ হাজার দক্ষ জনবল দিয়ে আগামী এক দশকে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প থেকে বাংলাদেশ ১৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে সক্ষম হবে।
সিম্পোজিয়ামের আহ্বায়ক, যুক্তরাষ্ট্রের পাড্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মোস্তফা হোসাইন বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর সামনে নিজেদের মেধা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি তুলে ধরতে পারবে। এ আয়োজন বায়োটেকনোলজি, ইলেকট্রনিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং রোবটিক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম বাংলাদেশের জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর বাজারে প্রবেশের পথ তৈরি করবে এবং দেশকে ডিপ টেকনোলজির একটি গ্লোবাল হাবে পরিণত করবে।